ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

নির্বাচন নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে যা বললেন হিরো আলম

শোবিজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১৩ নভেম্বর ২০১৮  

হিরো আলম : ফাইল ছবি

হিরো আলম : ফাইল ছবি


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহে রয়েছে একঝাক তারকা। তারমধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত তারকা হিরো আলমও।  বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই তারকা  জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন তিনি।

দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার সঙ্গে মনোনয়ন ফরম হাতে তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

ওই প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয়- জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের সমর্থকদের হিরো আলমের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়।

হিরো আলমের মনোনয়নপত্র কেনা নিয়ে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, বহুদিন আগে... একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করার সময় নানা কিসিমের প্রশিক্ষণের একটা কথা মনে আছে, ‘Right people in the right place’ প্রশিক্ষক বলেছিলেন এটা নাহলে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাফল্য আসেনা।। আজ হিরো আলম মনোনয়ন ফর্ম নিয়েছে জাতীয় পার্টি থেকে...

হারুন উর রশিদ নামে একজন লিখেছেন, হিরো আলম ময়ূরী মনোনয়ন ফর্ম কিনলে দোষ হয়। হাসি ঠাট্টা ট্রল হয়। এটাই বর্ণবাদ।

নিজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে হিরো আলমকে প্রসঙ্গ হিসেবে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, হিরো আলম নিম্নস্তর থেকে উঠে আসা একজন মানুষ। তিনি তার মতো সংগ্রাম করে আজকের জায়গায় এসেছেন। কিন্তু তার এই উঠে আসাটা আমাদের অনেকের বর্ণবাদী মন মেনে নিতে পারছেনা। এজন্যই তাকে নিয়ে এতো ট্রল হচ্ছে।

নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন তারকা বা পরিচিত ব্যক্তিত্বের মনোনয়ন পত্র কেনা এটাই প্রথম নয়, তবে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে শুধুমাত্র হিরো আলমকে ঘিরেই কেন এতো আলোচনা হচ্ছে? তাকে ঘিরে সবার কেন এতো আগ্রহ?

সব পরিচিত মুখ বা তারকাদের ছাপিয়ে হিরো আলমের এই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠার পেছনে দুটো মানসিক দৃষ্টিভঙ্গিকে দায়ী করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

সেগুলো হল নাগরিক উন্নাসিকতা ও জাত্যভিমান। যার কারণে অন্যকে নিজের চাইতে খাটো করে দেখার প্রবণতা দেখা যায়।

ফেরদৌস বলেন, আমাদের সমাজে যারা সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের একটি বড় অংশ উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। তারা এক ধরণের আভিজাত্যের দেমাগে ভোগেন।

‘যখন হিরো আলমের মতো কেউ রাতারাতি খ্যাতি পেয়ে যান, তখন তাদের ওই দুটি মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি সেটা মেনে নিতে চায়না।’

‘তখন তারা ওই ব্যক্তিকে যেভাবে পারে ব্যাঙ্গ করে, উপহাস করে। আর এগুলোই তাকে আরও বেশি আলোচনায় আনে। যেটা কিনা এলিট শ্রেণীর অন্য তারকাদের সহজে আনেনা।,’ বলেন মি. ফেরদৌস।


সমালোচকদের উদ্দেশ্য হিরো আলম যা বললেন

আমাদের মিডিয়ায় কেউ সেলিব্রেটি হলে, তাকে নিয়ে কথা হবেই। আমি হিরো এটা আমার একটা পরিচয়, আবার রাজনীতি আমার আরেকটা পরিচয়। কেউ কোনটাকে নেগেটিভলি নিবে আবার কোনটাকে পজেটিভলি নিবে।

লোকেরা কথা শুরু করলে, কথা বলতেই থাকবে, থামবে না। তাদের সব কথা মাথায় নিলে তো আমি কাজ করতে পারবো না। তাই আমি ওসব কথা পাত্তা দেই না। 

জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার কথাও জানান তিনি।

হিরো আলম বলেন, দেশের মানুষে আমাকে জিরো থেকে হিরো করেছে। আজ মানুষের ভালবাসার কারণেই আমি এই অবস্থানে এসেছি। আমি যদি এমপি হই তাহলে মানুষের সেই ভালবাসার প্রতিদান দিতে কাজ করে যাব। তবে এমপি নির্বাচিত হলেও নিজের গান বা অভিনয় ধরে রাখার কথা জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, অন্য সেলিব্রেটিদেরকে দেখেন তারা কিন্তু অভিনয় ছাড়ে নাই।আমিও সেটা ধরে রাখবো। কারণ এজন্যই মানুষ আমাকে চেনে। মানুষ উপরের শ্রেণীতে উঠে গেলে তার ব্যাকগ্রাউন্ডটা ভুলে যায়। আমি আমার অতীতকে ভুলে যেতে চাইনা।

নিউজওয়ান২৪/এমএম